ঈদের সেরা ১৫টি নাটক ও টেলিফিল্ম (২০১৭)
ঈদের সেরা ১৫টি নাটক ও টেলিফিল্ম(২০১৭)
প্রত্যেকবারের মত এবার ও ইচ্ছে ছিল পচ্ছন্দের ঈদের সেরা নাটক-টেলিফিল্ম নিয়ে সুন্দরভাবে সবার মাঝে উপস্থিত হওয়া। এবারের ঈদ নাটকের প্রধান আকর্ষণ ছিল আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ এবং ছবিয়াল রিইউনিয়নের নাটকগুলো। আলোচনা বা সমালোচনা মিলিয়ে এই জনপ্রিয় সিরিজ গুলো সম্পন্ন হয়েছে। এই জনপ্রিয় দুইটি সিরিজ ছাড়া এবারের ঈদেও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার হয়েছে খুব ভাল মানের কিছু নাটক-টেলিফিল্ম। যারা ঈদের এই পচ্ছন্দের কাজগুলো দেখতে চান তাদের জন্য এই পোস্ট টা সাজানো হয়েছে। আশা করছি আমার পচ্ছন্দের নাটকগুলো আপনাদের মনেও বড় জায়গা করে নিবে।
(১) “বিকাল বেলার পাখি”:-
ছবিয়াল রিইউনিয়ন সিরিজের এক অপরূপ সৃষ্টি। নিঃসন্দেহে এটি মাস্টারপিস মানের নাটক। মধ্যবিত্ত পরিবারের বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি একেবারে বাস্তবিক ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক আদনান আল রাজীব। নাটকের শেষ কথাগুলো যেকোন মানুষের মনে অনেক বড় দাগ কেটে থাকবে:-
“সন্তানের কাছে সবচেয়ে দুঃসহ দৃশ্যের নাম পিতার পরাজিত মুখ। এই মুখ তাকে বিধ্বস্ত করে দেয়। ধ্বংস করে দেয়। জীবনের সব আয়োজন; সব ছুটে চলা; তখন তুচ্ছ মনে হয়। নগণ্য মনে হয়। সংসার তুচ্ছতার খেলা, ভালবাসাই তার একমাত্র ভেলা।”
ছবিয়াল রিইউনিয়ন সিরিজের এক অপরূপ সৃষ্টি। নিঃসন্দেহে এটি মাস্টারপিস মানের নাটক। মধ্যবিত্ত পরিবারের বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি একেবারে বাস্তবিক ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক আদনান আল রাজীব। নাটকের শেষ কথাগুলো যেকোন মানুষের মনে অনেক বড় দাগ কেটে থাকবে:-
“সন্তানের কাছে সবচেয়ে দুঃসহ দৃশ্যের নাম পিতার পরাজিত মুখ। এই মুখ তাকে বিধ্বস্ত করে দেয়। ধ্বংস করে দেয়। জীবনের সব আয়োজন; সব ছুটে চলা; তখন তুচ্ছ মনে হয়। নগণ্য মনে হয়। সংসার তুচ্ছতার খেলা, ভালবাসাই তার একমাত্র ভেলা।”
এই নাটক আজীবন মানুষের মনে অনেক বড় স্থান করে থাকবে তা হলফ করে বলতে পারি।

(২) “বাদাবন”:-
সুমন আনোয়ার আমাদের নাটক ইন্ড্রাস্টির অসাধারণ মানের একজন পরিচালক। প্রত্যেক ঈদেই তার ভিন্নধর্মী প্রয়াস বেশিরভাগ দর্শকের মনে অনেক বড় জায়গা করে নেয়। এবারের কাজ টা ও অসাধারণ মানের কাজ।
সুমন আনোয়ার আমাদের নাটক ইন্ড্রাস্টির অসাধারণ মানের একজন পরিচালক। প্রত্যেক ঈদেই তার ভিন্নধর্মী প্রয়াস বেশিরভাগ দর্শকের মনে অনেক বড় জায়গা করে নেয়। এবারের কাজ টা ও অসাধারণ মানের কাজ।
শ্রীমঙ্গলের কোলঘেঁষে জঙ্গলে আধিপত্য বিস্তার করা ডাকাত শ্রেণীর কিছু লোকদের নিয়ে গড়া। যেথায় প্রায় বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়। অপহরণ যার মধ্যে অন্যতম। এমনি বিদেশ ফেরত নিশো কে অপহরণ করে মৌসুমী হামিদের ডাকাত দল।
অসাধারণ এক কাজটি আপনার মনে সিনেমার আমেজ সৃষ্টি করবে। যেথায় আফরান নিশো ও মৌসুমী হামিদের মত অভিনয়শিল্পী দের অভিনয় আরো প্রাণবন্ত করে তুলছে গল্পটি কে।


(৩) “মার্চ মাসে শুটিং”:-
আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের সবচেয়ে প্রধান আকর্ষণ এই নাটক টি ঘিরেই ছিল। কেননা নাটকটির পরিচালক স্বয়ং আয়নাবাজি সিনেমার পরিচালক অমিতাভ রেজা।
আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের সবচেয়ে প্রধান আকর্ষণ এই নাটক টি ঘিরেই ছিল। কেননা নাটকটির পরিচালক স্বয়ং আয়নাবাজি সিনেমার পরিচালক অমিতাভ রেজা।
নাটকের বিখ্যাত সংলাপ-
“হে শুভ, তুমি সেদিন ই হারিয়ে গেছ; যেদিন শুভ থেকে আবরার খান হয়েছ।”
“হে শুভ, তুমি সেদিন ই হারিয়ে গেছ; যেদিন শুভ থেকে আবরার খান হয়েছ।”
আসলেই তাই খ্যাতির মোহে অনেকেই এভাবে হারিয়ে যায় অভিনয় থেকে। নাটকের গল্পটা খুব ই সাধারণ হলেও পরিচালকের নির্মাণশিল্প প্রেক্ষাপট কে জীবন্ত করে তুলেছে। কেননা প্লট মুক্তিযুদ্ধ ঘিরে হলেও আয়নাবাজির থিম টা অনেক জোরালো ভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে।
অপূর্ব, গাজী রাকায়েত এবং নাবিলা প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী দের অভিনয় এতটাই সাবলীল যেন দুদণ্ড চোখ সড়ানো দায়।


(৪) “২৬ দিন মাত্র”:-
নাটক টি এতটাই অসম্ভব ভাল লেগে যায় যে বলার ভাষা রাখে না। তবে এরচেয়েও বেশি ভড়কে গেছি নাটকের পরিচালক দেখে। কেননা কখনোই চিন্তা করি নাই মোস্তফা কামাল রাজ এত অসাধারণ নাটক নির্মাণ করবেন!!!!
নাটক টি এতটাই অসম্ভব ভাল লেগে যায় যে বলার ভাষা রাখে না। তবে এরচেয়েও বেশি ভড়কে গেছি নাটকের পরিচালক দেখে। কেননা কখনোই চিন্তা করি নাই মোস্তফা কামাল রাজ এত অসাধারণ নাটক নির্মাণ করবেন!!!!
২৬ দিনের কথা বলে এক ছেলে তার বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। সেখানে বৃদ্ধলোকের সাথে সাক্ষাত হয় তার প্রাক্তন বউয়ের সাথে। এভাবে গল্প এগিয়ে যায়।
বিখ্যাত এক ডায়ালগ এই নাটকের:-
এই শুক্রবার ও যদি আপনার ছেলে না আসে আপনি মন খারাপ করিয়েন না। কেননা শুক্রবার অনেকবার আসবে।
(৫) “অভিনন্দন”:-
মোশাররফ করিম বিখ্যাত এই অভিনেতা যাকে ইদানীং ভাঁড়ামি নাটক দেখতে দেখতে সবাই বিরক্ত। তবে এবার এতটা অসাধারণ স্ক্রিপ্টে কাজ করে তাক লাগিয়ে দিবে কখনোই ভাবি নাই। মুরসালিন শুভের পরিচালনায় অসাধারণ নাটক টি মনের মধ্যে গেঁথে যায়।
মোশাররফ করিম বিখ্যাত এই অভিনেতা যাকে ইদানীং ভাঁড়ামি নাটক দেখতে দেখতে সবাই বিরক্ত। তবে এবার এতটা অসাধারণ স্ক্রিপ্টে কাজ করে তাক লাগিয়ে দিবে কখনোই ভাবি নাই। মুরসালিন শুভের পরিচালনায় অসাধারণ নাটক টি মনের মধ্যে গেঁথে যায়।
সিনেমাপাগল এক মানুষের পরিচয় মিলে এই নাটকে। যিনি সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত সিনেমাটি প্রায় ১৭ বারের মত দেখেছেন। সিনেমাটি যেন তার মধ্যে বপন করে নিয়েছেন। সিনেমার প্রত্যেক দৃশ্য তার মধ্যে এভাবেই ভিদে গেছে যেন সিনেমার সাথে জড়িত সে। সিনেমার সাথে জড়িত লোকদের সাথে সাক্ষাত করতে ঐ লোক চলে যায় ঢাকায়।
মোশাররফ করিমের ক্যারিয়ারের ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট অভিনয় হিসেবে আজীবন এই নাটক মনে বড় জায়গা করে থাকবে।
(৬) “জীবনসঙ্গী”:-
আফরান নিশো কি জিনিস মাইরি!!!! নাটকের ইন্ড্রাস্টি কে সবচেয়ে ভার্সেটাইল অভিনেতা হিসেবে এখন নিশো সবচেয়ে উপরের দিকে আছে। থাকবে নাই বা কেন!!! তার অভিনয় যেন তার অভিনীত চরিত্রগুলো কে প্রাণের সঞ্চার এনে দেয়।
আফরান নিশো কি জিনিস মাইরি!!!! নাটকের ইন্ড্রাস্টি কে সবচেয়ে ভার্সেটাইল অভিনেতা হিসেবে এখন নিশো সবচেয়ে উপরের দিকে আছে। থাকবে নাই বা কেন!!! তার অভিনয় যেন তার অভিনীত চরিত্রগুলো কে প্রাণের সঞ্চার এনে দেয়।
সুমন আনোয়ারের পরিচালনায় নাটকটির গল্প খুব ই সাধারণ হলেও আফরান নিশো, মুনিরা মিঠু, শ্যামল মাওলা এবং মৌসুমী হামিদের ন্যাচারাল অভিনয় সহজ-সাধারণ গল্পকেও অসাধারণ লেভেলে নিয়ে গেছে।
নাটকের শেষ দিকে নিশোর অস্থির এক্সপ্রেশনে তব্দা খেয়ে যাবেন আমার মত অনেক নাটকপ্রেমী।
(৭) “দ্বন্দ্ব সমাস”:-
আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের অন্যতম সেরা একটি কাজ। আশফাক নিপুণের পরিচালনায় ধর্ম নিয়ে অস্থির এক নাটক হইছে এটি। এটি আশফাক নিপুণের অন্যতম সেরা একটি কাজ।
আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের অন্যতম সেরা একটি কাজ। আশফাক নিপুণের পরিচালনায় ধর্ম নিয়ে অস্থির এক নাটক হইছে এটি। এটি আশফাক নিপুণের অন্যতম সেরা একটি কাজ।
নাটক নিয়ে তীব্র সমালোচনার মূল কারণ ধার্মিক প্লটভিত্তিতে নির্মিত। এছাড়া অনেকেই এটাকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন না বুঝেই। তবুও যাদের সন্দেহ আছে তারা জিবরান বাহার অভি ভাইয়ের পোস্ট টা পড়ে দেখিয়েন। তাহলে আপনাদের মনের সন্দেহ দূর হবে নিশ্চিত।
রওনক হাসানের অভিনয়ে কেবল মুগ্ধতা ছড়ায় নি; বরং তার অসাধারণ অভিনয়ে আমার মত অনেক দর্শকদের মনে অনেক বড় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
অসাধারণ এক নাটক। অবশ্যই মিস করিয়েন না।

“মিঃ জনি”:-
রেদোয়ান রনি পরিচালিত নাটক টি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত।
রেদোয়ান রনি পরিচালিত নাটক টি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত।
একজন ভ্যানচালক ও তার পোষা কুকুর জনি কে নিয়ে নাটক টি নির্মিত হয়েছে। গল্প যেমন হৃদয়স্পর্শী যে কারোর মনেই বড় জায়গা করে নিবে।
(৮) “যে তুমি হরণ করো”:-
কবি আবুল হাসানের যুগলবন্দী কবিতালম্বনে নাটক টি নির্মাণ করেছেন মাহমুদ দিদার।
কবি আবুল হাসানের যুগলবন্দী কবিতালম্বনে নাটক টি নির্মাণ করেছেন মাহমুদ দিদার।
আফরান নিশো পোস্টঅফিসে কাজ করেন। তবে সে তার নিছক কাজটি কেও অসম্ভব ভালবাসেন। এছাড়াও ভালবাসেন চিঠি লিখিতে এবং এর প্রচলন করতে। শার্লিন প্রায় তার চিঠির উত্তরের জন্য আসেন পোস্টঅফিসে। কিন্তু কোন চিঠির উত্তর আসে না। তবুও দুইদিন পরপর সে ঠিক ই চিঠি লিখে পোস্ট অফিসে চলে আসেন তার পচ্ছন্দের মানুষের ঠিকানায় পাঠাতে।
মনোমুগ্ধকর একটি নাটক। সবার খুব ভাল লাগবে আশা করছি।


(৯) “নিকট অজানা”:-
তানহা জাফরীনের পরিচালনা ভিন্নধর্মী অসাধারণ এক নাটক।
তানহা জাফরীনের পরিচালনা ভিন্নধর্মী অসাধারণ এক নাটক।
সত্যি নাটক টি দেখে আপনি ভড়কে যাবেন। অস্থির এক নাটক।
সময় করে দেখিয়েন সবাই।
(১০) “শেষটা একটু অন্যরকম”:-
গৌতম কৌরি পরিচালিত অসাধারণ এক কাজ। আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের একটা পর্ব এই নাটক টি। আয়নাবাজি সিনেমার মূল থিম এখানে স্পষ্টরুপে প্রতীয়মান। সেদিক দিয়ে অবশ্যই বলা যায় এই নাটক টি সিরিজের ধারাবাহিতা রক্ষায় অভাবনীয় অবদান রেখেছে।
গৌতম কৌরি পরিচালিত অসাধারণ এক কাজ। আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের একটা পর্ব এই নাটক টি। আয়নাবাজি সিনেমার মূল থিম এখানে স্পষ্টরুপে প্রতীয়মান। সেদিক দিয়ে অবশ্যই বলা যায় এই নাটক টি সিরিজের ধারাবাহিতা রক্ষায় অভাবনীয় অবদান রেখেছে।
সু-পরিচালক গৌতমের পাশাপাশি এই নাটকের প্রাণের সঞ্চার নিয়ে আসেন আশীষ খন্দকারে মাস্টারপিস লেভেলের অভিনয়। এই লোক মঞ্চে নাকি ৩০ বছরের মত অভিনয় করে যাচ্ছেন। সত্যি তার অভাবনীয় অভিনয়ের প্রতিফলন স্পষ্টরুপেই নাটকে ফুটে উঠে।
অসাধারণ নাটক টি অভিনয়ের মুগ্ধতা নিয়ে শেষ হবে সবার মনের মধ্যে দারুণ উদ্দীপনা নিয়ে।

(১১) “একটি সন্দেহের গল্প”:-
কাজল আরেফীন অমি পরিচালিত দারুণ মজার এক নাটক।
কাজল আরেফীন অমি পরিচালিত দারুণ মজার এক নাটক।
মিশু সাব্বির কথায় কথায় সন্দেহ করে তার প্রেমিকা তানজিন তিশা কে। এই সন্দেহ কেবল প্রেম অবধি টিকে থাকে না; বিয়ের পরেও এই সন্দেহ আরো জোরালো হয়ে দাঁড়ায়।
অস্থির মজা লাগবে নাটক টি দেখে।

(১২) “সাদা কাগজে সাজানো অনুভূতি”:-
নামের মত ই অসাধারণ এক নাটক।
এক ডাকপিয়ন তার কাছে কত চিঠি আসে কত ঠিকানার। ঠিকানা মত সব চিঠি পৌঁছে দেয় কিন্তু একটা ঠিকানায় সবসময় চিঠি আসে, যে ঠিকানায় কেউ থাকে না, কিন্তু চিঠি আসা থামে না। এর পিছনে রহস্য উন্মোচন করে ডাকপিয়ন।
ডাকপিয়ন চরিত্রে নিশোর অভিনয় জাস্ট ফাটাফাটি। এলভিনের অভিনয় ভাল নাহলেও লুক ভাল ছিল। অমি যদি এমন কাজ করে তাহলে ভবিষ্যতে ভাল পরিচালকদের মধ্যে তার নাম ও আসবে বলে আস্থা রাখছি।
সময় নিয়ে অবশ্যই নাটক টি দেখবেন।

(১৩) “রাঁধুনি”:-
ইমরাউল রাফাতের কাজগুলোর মধ্যে এটি অনেক ভাল লাগল। কেননা গল্পটি যেন আমার আপনার পরিবারের জয়গান গাইছিল। যেথায় সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার অভাবে এক পক্ষ অন্য পক্ষ্যের সাথে সংসার গড়ায় মোটেই চিন্তা করতে চায় না।
ইমরাউল রাফাতের কাজগুলোর মধ্যে এটি অনেক ভাল লাগল। কেননা গল্পটি যেন আমার আপনার পরিবারের জয়গান গাইছিল। যেথায় সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার অভাবে এক পক্ষ অন্য পক্ষ্যের সাথে সংসার গড়ায় মোটেই চিন্তা করতে চায় না।
গল্পটি অনেকের সাদামাটা মনে হলেও যখন প্লট আমার আপনার জীবনের সাথে মিলে যাবে তখন এমন জিনিসের মূল্য ঠিক ই মনে বিধে থাকবে।
আফরান নিশো-তিশা দুজনেই এখানে নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। যার ফলে নাটকটি আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠে দর্শকের মাঝে।

(১৪) “মন মানুষের খোঁজে”:-
দোদুল পরিচালিত দারুণ এক নাটক।
দোদুল পরিচালিত দারুণ এক নাটক।
মাহফুজ ট্রেনের প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছে ট্রেনের। প্রচুর বৃষ্টি পড়ছে বাহিরে তাই অন্যান্য তেমন যাত্রী এখনো কেউ নেই আশেপাশে। হঠাৎ অর্ষা এসে সেই প্লাটফর্মে আসে সিক্ত শাড়ী পরিহিত অবস্থায়। প্রথমে কিছুটা ইতস্তত বোধ দুজনার মাঝে হলেও পরে মাহফুজের এক গল্পের মোহে জড়িয়ে যায় অর্ষা।
এবারের ঈদে মাহফুজ অভিনীত খুব ভালোলাগার একটি কাজ। সময় করে দেখে নিয়েন।
(১৫) “মুখোমুখি”:-
রবিউল আলম রবি পরিচালিত আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের একটা পর্ব। অসাধারণ এক নাটক। সত্যি অভূতপূর্ব। কালার গ্রেডিং সাদাকালো হওয়াতে মনে হয় গল্পের সাথে আরো ভালভাবেই মিশে যেতে পেরেছি। শব্দগ্রহণের এতটাই অসাধারণ যেন স্বয়ং আমি পর্দার বাহির থেকে নয় পর্দার ভেতরেই ছিলাম।
রবিউল আলম রবি পরিচালিত আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজের একটা পর্ব। অসাধারণ এক নাটক। সত্যি অভূতপূর্ব। কালার গ্রেডিং সাদাকালো হওয়াতে মনে হয় গল্পের সাথে আরো ভালভাবেই মিশে যেতে পেরেছি। শব্দগ্রহণের এতটাই অসাধারণ যেন স্বয়ং আমি পর্দার বাহির থেকে নয় পর্দার ভেতরেই ছিলাম।
আয়নাবাজি সিনেমার বিখ্যাত সেই ডায়ালগ-
“এক ক্যারেক্টার থেকে অন্য ক্যারেক্টারে শিফট হলে সব হাওয়া”
“এক ক্যারেক্টার থেকে অন্য ক্যারেক্টারে শিফট হলে সব হাওয়া”
সত্যি তাই। নাটকের প্লট এত সাধারণ ভাবে গড়েও অসাধারণ ভাবে শেষ হবে কল্পনাও করি নাই।
অনেক দিন পর জন কবিরের কোন কাজ এত পচ্ছন্দ হইল। তবে এখানে জন কবিরের চেয়েও সাবার অভিনয় বেশি মনে ধরেছে।


=============================
ভাঁড়ামি আর ফাত্রামির বাহিরে ভালো গল্পের নাটক ও হয় আমাদের। দেখুন আমাদের নাটক। আড্ডা জমুক, তর্ক জমুক আমাদের নাটক নিয়ে। পরবর্তী তে আরো কিছু ভালোলাগার ঈদ নাটক নিয়ে হাজির হব। আশা করছি আমার মত আপনাদের প্রত্যেকের ই নাটকগুলো খুব ভাল লাগবে।
ধন্যবাদ সবাই কে।