আবেগ, লাভ কানেকশান - গল্প
ক্লাসে ঢুকেই
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রাজ।
এই খানে তো শুধু মেয়ে আর মেয়ে।
মেয়েদের পড়ার ব্যাচ নাকি এটা ?
পাশ থেকে মাথা টা গলিয়ে দেখলো রিহান ।
<>রিহান আর রাজ
দুজনে বেষ্টফ্রেন্ড...
এছাড়া কলেজে
জান্নাত,রিহান,রিতু ,রাজ চারজনে
যেন একে অপরের প্রাণের বন্ধু
.
যাহক পরে,
- দোস্ত কোথায় এসে পড়লাম ? (রাজ ফিসফিসিয়ে বলে)
- তাই তো দেখছি ।
আমার কিন্তু ভালোই লাগছে।
বেশ মজা হবে । ।
.
- রিহান ন্যা
তোর মশকারা করার স্বভাব গেল না ?
জান্নাত আর রিতু কোথায় দেখতো,
দুই বজ্জাতি না বলেছিলো
এইখানে ছেলেও পড়ে ?
- দেখছি না তো বাপ ওদেরকে ।
- তো ক্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে আছিস যে?
ফোন দে না?(রিহান)
- ফোন দে না মানে ?
তুই ফোন দিতে পারছিস না ?
ব্যালেন্স কি সব আমার মোবাইলেই আছে নাকি ?(রাজ)
- আমার নাই তাই বললাম ।
দে না ।
*
>ক্লাসের সবাই
হা করে তাকিয়ে আছে ।
লাবণ্য, সিনথীয়া,হিমি, লতা,রুপা,মায়া,সাথী সবাই ফিসফিস করছে নতুন দুই ছেলেদের দেখে ।
এরা হলো ক্লাসের ফার্স্ট বেঞ্চার ।
সবসময় ভালো করে।
.
যাহক পরে
রিহান ফোন দিল,
- হ্যালো রিতু, আমি রিহান
- তুই রিহান হলেও
আমি রিতু না
আমি জান্নাত।
বল কি হইছে???
- আমি জান্নাত হুহহ!
জান্নাত জাহান্নাম বাদ দে ।
আছস কোথায় তোরা ? আসবি না?
.
- নারে রিহান
আজ আসবো না ।
আজ রিতুর কি একটা অনুষ্ঠান আছে ।
ও যাবে না তাই আমিও যাবো না । .
- কেন?
রিতু মরে গেলে কি তুইও মরে যাবি নাকি ?
- কুত্তা
ফাজলামি অফ কর যা ক্লাসে বয় ।
স্যার কে বলা আছে ।
- প্লিজ আই না বাপ
- রিহান????
যা ক্লাসে বস্
- কিন্তু এইখানে তো সব মেয়ে,
সব পেত্নীর দল
- ফ্যাচর ফ্যাচর অফ করে ভিতরে বয় । রাখলাম
.
>রাজ আর রিহান
দুই বেষ্টফ্রেন্ড ভিতরে ঢুকে এক কোণায় একটা সীটে বসতেই,
ক্লাসের বুদ্ধিমতি ছাত্রী
লাবণ্য উঠে দাঁড়িয়ে সামনে এসে বললো,
- এই এই
এটা মেয়েদের সীট ।
উঠে যাও এইখান থেকে ।
অন্য জায়গাই বসো ।
.
- তবে ছেলেদের জায়গায় কোনটা ?
- আমি ছেলে নাকি ?
নিজে থেকে খুঁজে গিয়ে বসো।
বলে হাসতে হাসতে
লাবণ্য গিয়ে নিজের সীটে বসলো ।
.
>রাগ দেখিয়ে
রাজ আর রিহান ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো
***
যাহক
একটুপরে জান্নাত আর রিতু আসল।
পরে চার বেষ্টফ্রেন্ড
একসাথে ক্লাসে ঢুকতেই ফোড়ন কাটলো লাবণ্য,
- এসেছে দেখ
হাফ লেডিস দুটো ।
.
>রিহান প্রায় তেড়ে গিয়ে বললো,
- ঐ হাফ লেডিস কাকে ডাকলা?
- তোমার এতো জ্বলছে কেন ?
সন্দেহ হচ্ছে??
.
>বলেই লাবণ্য হাসতে লাগলো ।
হঠাৎ রিহানের এই হাসি দারুণ ভালো লাগছে।
অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়েই আছে ।
.
>মুহূর্তেই রাজের ডাকে বাস্তবে ফিরে এলো রিহান,
.
- এই রিহান
হারামজাদা বয়না,
মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন ?
.
রাজ কথাটি বলেই
লাবণ্যকে বললো,
- লাবণ্য
তোমার খাতা টা দিতে পারবা ?
স্যার বলেছে তোমার খাতা থেকে আগের ম্যাথ গুলো তুলে নিতে
আর কিছু না বুঝলে যেন তুমি বুঝিয়ে দাও । .
- এহ!
আমার ঠ্যাকা পড়ছে তোমাকে বুঝায় দেয়ার জন্য ?
স্কুল খুলেছি নাকি ?
- এতো দেমাগ কিসের ?
একটু ভালো করে সময় নিয়ে পড় বলে কি এতো দেমাগ দেখাতে হয় ?
তোমার খাতা তুমি খাও গা ।
- দেখ রাজ একদম বেয়াদবি করবা না ।
.
>লাবণ্য আর রাজের ঝগড়া চলতেই থাকে ।
>আর রিহানও ফিদা হতে থাকে লাবণ্যের উপর ।
.
লাবণ্য অবশ্য
রাজকে খাতা না দিলেও বা হেল্প না করলেও
রিহানকে মাঝে মাঝে করে ।
ভালই লাগে ওর..
.
<>একদিন রাস্তায়
লাবণ্যের সাথে রিহানের দেখা।
দুইজন হাটতে হাটতে বাসায় যাচ্ছিলো।
>হঠাৎ রাস্তায়
আবার তার ফ্রেন্ড জান্নাতের সাথে দেখা।
.
জান্নাত কিছু বলার আগেই
রিহান ওকে টেনে নিয়ে এক কোনায় এনে বললো,
- দেখ জান্নাত
কিছু বলিস না প্লিজ।
ওকে আমার ভালো লাগে ,
আর কিছু বলিস না।
.
>আজ লাবণ্যের
বার্থডে ,
ক্লাসের সবাই সেলিব্রেট করছে ।
কেক কাটার পরে
রিহান সাথে আনা গীটারে গান ধরলো , সবাই হাত তালি দিচ্ছে
.
আর রাজ
বাইরে বের হয়ে এক কোণায় বসে একটা সিগারেট ধরালো,
এক টান দিতে না দিতেই
রিতু পাশে এসে দাঁড়িয়ে একটা ঝাঁকুনি দিলো,
- কিরে এ কোনায় কি রে?
- ধুর রিহানের ওই গান আমার আগের শোনা
তাই এইখানে এসে বসেছি ।
- বল সিগারেট খেতে এসেছি ।
এই ছাই পাশ গুলো না খেলে হয়না ?
- সবার জন্য সব কিছু এক না রিতু । তোমার জন্য তোমার একটা কলমও অনেক মূল্যবান হতে পারে,
তেমনই আমার জন্য এই সিগারেট
- হইছে আর বলতে হবে না ।
.
হঠাৎ রাজ
খেয়াল করলো যে
রিতুকে দেখতে বেশ লাগছে ।
সুন্দর করেই সেজে এসেছে ও ।
.
জান্নাতের থেকে শুনেছে যে,
এই রিতু নাকি কোন এক ছেলের উপর ক্রাশ খেয়ে বসেছে ।
এই চুপচাপ মেয়ে ক্রাশ খাই ?
বিশ্বাস হয়না
.
- সিগারেট টা ফেলে দাও গন্ধ ভালো লাগছে না।
.
>রিতুর কথায় বাস্তবে ফিরে এলো রাজ
.
>ওদিকে রিহানের গানে মুগ্ধ সবাই।
বিশেষ করে লাবণ্য।
দারুণ একটা দিন গেল ওদের।
*
>নিচে নেমে আসতেই
ওরা চারজন হাটতে শুরু করলে
জান্নাত বলল,
- কিরে রাজ
আজকাল দেখি লাবণ্যের সাথে
তোর বেশ খাতির হইছে মনে হয় মাঝে মাঝে কথা বলিস দেখি ।
.
>কথাটি শুনেই
সাথে সাথেই রিহানের রাগী মুখ
রাজের দিকে ঘুরে গেল।
রাজ তা দেখেই বলল,
- আরে ধুর
কিছুই না তেমন মাঝে মাঝে কথা বলে জাস্ট ।
.
<>রিতু কথার মাঝে
কি যেন ঠিক করার জন্য
রাজের হাতে তার ব্যাগ টা দিল কিন্ত নিতে ভুলে গেল।
.
পরে বাসায় এসে
রিতু ফোন দিল,
- রাজ ব্যাগ মনে হয় তোমার কাছেই রয়ে গেছে
- সরি
আমিওদিতে ভুলে গেছলাম ।
- ইটস ওকে
আমার ব্যাগ টা খুলো তো ।
একটা কাগজ আছে একটা নাম্বার লেখা আমাকে একটু ওটা মেসেজ করে পাঠিয়ে দাও না প্লিজ।
খুব দরকার ।
.
- ও বিএফ এর বুঝি ?
দিবো না।
.
- ধুর না রে ।
রাজ দাও তাড়াতাড়ি
.
রাজ রিতুর ব্যাগ থেকে
কাগজ টা বের করে মোবাইল হাতে নিলো
কিন্তু কিছু লিখতে পারলো না,
কারণ
কাগজে লেখা ছিল,
.
"রাজ,
তোমার জন্য লিখছি অবাক হওয়ার কিছু নেই ।
সামনা সামনি কিছু বলতে পারবো না তাই লিখছি
আমি তোমাকে ভালোবাসি অনেক বেশী পছন্দ করি।
জানিনা তুমি কাউকে পছন্দ করো কিনা । জানতেও চাইনা।
ভয় করে জানতে।
কিন্তু তোমাকে অনেক বেশী ভালোবাসি। .
.
>রাজ অবাক হয়ে
লেখাটা পড়ছে ।
.
সাথে সাথেই রিতুকে টেক্সট দিলো আগামীকাল দেখা করার জন্য
**
<>যাহক পরেরদিন,
রিতু দাঁড়িয়ে আছে একটা গাছের নিচে
কালো একটা ড্রেস পড়ে।
বেশ মানিয়েছে বটে।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে ।
>রাজ ওর আগে আসলেও
কিছুক্ষণ দাড় করিয়ে রেখে এগিয়ে গেল রিতুর ব্যাগ নিয়ে।
এগিয়ে দিলো ওকে ব্যাগ ।
>রিতু রাজের দিকে তাকাচ্ছে না লজ্জায় ।
কেউ কিছু বলছে না দেখে
রাজ বলে উঠলো,
- কি সমস্যা ?
গতকাল কাগজ টাতে কি লেখা ছিলো রিতু ?
- তুমি পড়ো নি ?
>মাথা নিচে নামিয়ে রেখেই
পালটা উওর দিলো রিতু।
*
>সাথেই সাথেই
প্রায় রাজ তেলে বেগুনে জলে উঠলো,
- ফাজলামু পেয়েছ?
এইসব কি ?
আমি তোমার থেকে এইসব আশা করিনি । ছি
.
>কথাটি বলেই রাজ
রিতুর সেই কাগজ পকেট থেকে বের করে দুমড়ে মুচড়ে মাটিতে ওর পায়ের কাছে ছুড়ে মারলো।
রিতু এইসব এ খুব অবাক হয়ে গেল । চোখে জল চিক চিক করতে লাগল ।
*
কিছু না বলে
রিতু নিজের ব্যাগ নিয়ে হাটা শুরু করলো এই বৃষ্টিতে ।
কাঁদছে ও ।
.
>হটাত মাথার উপরে ছাতা নিয়ে রাজ এসে দাঁড়ালো
রিতু অবাক হয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে গেল।
- আমার উওর না শুনে যাচ্ছো কোথায় ?
- মানে ?
(রিতুর আরো অবাক)
- তুমি সরাসরি বলো নি কেন ?
এটার জন্যই তো রাগ হলো খুব।
আর কাদার কি আছে?
তোমার চোখে পানি মানায় না।
I Love U Too পাগলি
- রিতু এবার রাজকে জড়িয়ে ধরলো
.
>পরে রাজ নিজেই আবার ছাতা বন্ধ করে দিয়ে
রিতুর হাত ধরে হাটা শুরু করলো এই বৃষ্টিতে।
মাঝে মাঝে কিছু মনের মানুষের সাথে বৃষ্টিতে ভিজলে কিচ্ছু হয়না ।
ভালোই লাগে তাদের হাত ধরে ভিজতে..
**
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রাজ।
এই খানে তো শুধু মেয়ে আর মেয়ে।
মেয়েদের পড়ার ব্যাচ নাকি এটা ?
পাশ থেকে মাথা টা গলিয়ে দেখলো রিহান ।
<>রিহান আর রাজ
দুজনে বেষ্টফ্রেন্ড...
এছাড়া কলেজে
জান্নাত,রিহান,রিতু ,রাজ চারজনে
যেন একে অপরের প্রাণের বন্ধু
.
যাহক পরে,
- দোস্ত কোথায় এসে পড়লাম ? (রাজ ফিসফিসিয়ে বলে)
- তাই তো দেখছি ।
আমার কিন্তু ভালোই লাগছে।
বেশ মজা হবে । ।
.
- রিহান ন্যা
তোর মশকারা করার স্বভাব গেল না ?
জান্নাত আর রিতু কোথায় দেখতো,
দুই বজ্জাতি না বলেছিলো
এইখানে ছেলেও পড়ে ?
- দেখছি না তো বাপ ওদেরকে ।
- তো ক্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে আছিস যে?
ফোন দে না?(রিহান)
- ফোন দে না মানে ?
তুই ফোন দিতে পারছিস না ?
ব্যালেন্স কি সব আমার মোবাইলেই আছে নাকি ?(রাজ)
- আমার নাই তাই বললাম ।
দে না ।
*
>ক্লাসের সবাই
হা করে তাকিয়ে আছে ।
লাবণ্য, সিনথীয়া,হিমি, লতা,রুপা,মায়া,সাথী সবাই ফিসফিস করছে নতুন দুই ছেলেদের দেখে ।
এরা হলো ক্লাসের ফার্স্ট বেঞ্চার ।
সবসময় ভালো করে।
.
যাহক পরে
রিহান ফোন দিল,
- হ্যালো রিতু, আমি রিহান
- তুই রিহান হলেও
আমি রিতু না
আমি জান্নাত।
বল কি হইছে???
- আমি জান্নাত হুহহ!
জান্নাত জাহান্নাম বাদ দে ।
আছস কোথায় তোরা ? আসবি না?
.
- নারে রিহান
আজ আসবো না ।
আজ রিতুর কি একটা অনুষ্ঠান আছে ।
ও যাবে না তাই আমিও যাবো না । .
- কেন?
রিতু মরে গেলে কি তুইও মরে যাবি নাকি ?
- কুত্তা
ফাজলামি অফ কর যা ক্লাসে বয় ।
স্যার কে বলা আছে ।
- প্লিজ আই না বাপ
- রিহান????
যা ক্লাসে বস্
- কিন্তু এইখানে তো সব মেয়ে,
সব পেত্নীর দল
- ফ্যাচর ফ্যাচর অফ করে ভিতরে বয় । রাখলাম
.
>রাজ আর রিহান
দুই বেষ্টফ্রেন্ড ভিতরে ঢুকে এক কোণায় একটা সীটে বসতেই,
ক্লাসের বুদ্ধিমতি ছাত্রী
লাবণ্য উঠে দাঁড়িয়ে সামনে এসে বললো,
- এই এই
এটা মেয়েদের সীট ।
উঠে যাও এইখান থেকে ।
অন্য জায়গাই বসো ।
.
- তবে ছেলেদের জায়গায় কোনটা ?
- আমি ছেলে নাকি ?
নিজে থেকে খুঁজে গিয়ে বসো।
বলে হাসতে হাসতে
লাবণ্য গিয়ে নিজের সীটে বসলো ।
.
>রাগ দেখিয়ে
রাজ আর রিহান ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো
***
যাহক
একটুপরে জান্নাত আর রিতু আসল।
পরে চার বেষ্টফ্রেন্ড
একসাথে ক্লাসে ঢুকতেই ফোড়ন কাটলো লাবণ্য,
- এসেছে দেখ
হাফ লেডিস দুটো ।
.
>রিহান প্রায় তেড়ে গিয়ে বললো,
- ঐ হাফ লেডিস কাকে ডাকলা?
- তোমার এতো জ্বলছে কেন ?
সন্দেহ হচ্ছে??
.
>বলেই লাবণ্য হাসতে লাগলো ।
হঠাৎ রিহানের এই হাসি দারুণ ভালো লাগছে।
অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়েই আছে ।
.
>মুহূর্তেই রাজের ডাকে বাস্তবে ফিরে এলো রিহান,
.
- এই রিহান
হারামজাদা বয়না,
মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছিস কেন ?
.
রাজ কথাটি বলেই
লাবণ্যকে বললো,
- লাবণ্য
তোমার খাতা টা দিতে পারবা ?
স্যার বলেছে তোমার খাতা থেকে আগের ম্যাথ গুলো তুলে নিতে
আর কিছু না বুঝলে যেন তুমি বুঝিয়ে দাও । .
- এহ!
আমার ঠ্যাকা পড়ছে তোমাকে বুঝায় দেয়ার জন্য ?
স্কুল খুলেছি নাকি ?
- এতো দেমাগ কিসের ?
একটু ভালো করে সময় নিয়ে পড় বলে কি এতো দেমাগ দেখাতে হয় ?
তোমার খাতা তুমি খাও গা ।
- দেখ রাজ একদম বেয়াদবি করবা না ।
.
>লাবণ্য আর রাজের ঝগড়া চলতেই থাকে ।
>আর রিহানও ফিদা হতে থাকে লাবণ্যের উপর ।
.
লাবণ্য অবশ্য
রাজকে খাতা না দিলেও বা হেল্প না করলেও
রিহানকে মাঝে মাঝে করে ।
ভালই লাগে ওর..
.
<>একদিন রাস্তায়
লাবণ্যের সাথে রিহানের দেখা।
দুইজন হাটতে হাটতে বাসায় যাচ্ছিলো।
>হঠাৎ রাস্তায়
আবার তার ফ্রেন্ড জান্নাতের সাথে দেখা।
.
জান্নাত কিছু বলার আগেই
রিহান ওকে টেনে নিয়ে এক কোনায় এনে বললো,
- দেখ জান্নাত
কিছু বলিস না প্লিজ।
ওকে আমার ভালো লাগে ,
আর কিছু বলিস না।
.
>আজ লাবণ্যের
বার্থডে ,
ক্লাসের সবাই সেলিব্রেট করছে ।
কেক কাটার পরে
রিহান সাথে আনা গীটারে গান ধরলো , সবাই হাত তালি দিচ্ছে
.
আর রাজ
বাইরে বের হয়ে এক কোণায় বসে একটা সিগারেট ধরালো,
এক টান দিতে না দিতেই
রিতু পাশে এসে দাঁড়িয়ে একটা ঝাঁকুনি দিলো,
- কিরে এ কোনায় কি রে?
- ধুর রিহানের ওই গান আমার আগের শোনা
তাই এইখানে এসে বসেছি ।
- বল সিগারেট খেতে এসেছি ।
এই ছাই পাশ গুলো না খেলে হয়না ?
- সবার জন্য সব কিছু এক না রিতু । তোমার জন্য তোমার একটা কলমও অনেক মূল্যবান হতে পারে,
তেমনই আমার জন্য এই সিগারেট
- হইছে আর বলতে হবে না ।
.
হঠাৎ রাজ
খেয়াল করলো যে
রিতুকে দেখতে বেশ লাগছে ।
সুন্দর করেই সেজে এসেছে ও ।
.
জান্নাতের থেকে শুনেছে যে,
এই রিতু নাকি কোন এক ছেলের উপর ক্রাশ খেয়ে বসেছে ।
এই চুপচাপ মেয়ে ক্রাশ খাই ?
বিশ্বাস হয়না
.
- সিগারেট টা ফেলে দাও গন্ধ ভালো লাগছে না।
.
>রিতুর কথায় বাস্তবে ফিরে এলো রাজ
.
>ওদিকে রিহানের গানে মুগ্ধ সবাই।
বিশেষ করে লাবণ্য।
দারুণ একটা দিন গেল ওদের।
*
>নিচে নেমে আসতেই
ওরা চারজন হাটতে শুরু করলে
জান্নাত বলল,
- কিরে রাজ
আজকাল দেখি লাবণ্যের সাথে
তোর বেশ খাতির হইছে মনে হয় মাঝে মাঝে কথা বলিস দেখি ।
.
>কথাটি শুনেই
সাথে সাথেই রিহানের রাগী মুখ
রাজের দিকে ঘুরে গেল।
রাজ তা দেখেই বলল,
- আরে ধুর
কিছুই না তেমন মাঝে মাঝে কথা বলে জাস্ট ।
.
<>রিতু কথার মাঝে
কি যেন ঠিক করার জন্য
রাজের হাতে তার ব্যাগ টা দিল কিন্ত নিতে ভুলে গেল।
.
পরে বাসায় এসে
রিতু ফোন দিল,
- রাজ ব্যাগ মনে হয় তোমার কাছেই রয়ে গেছে
- সরি
আমিওদিতে ভুলে গেছলাম ।
- ইটস ওকে
আমার ব্যাগ টা খুলো তো ।
একটা কাগজ আছে একটা নাম্বার লেখা আমাকে একটু ওটা মেসেজ করে পাঠিয়ে দাও না প্লিজ।
খুব দরকার ।
.
- ও বিএফ এর বুঝি ?
দিবো না।
.
- ধুর না রে ।
রাজ দাও তাড়াতাড়ি
.
রাজ রিতুর ব্যাগ থেকে
কাগজ টা বের করে মোবাইল হাতে নিলো
কিন্তু কিছু লিখতে পারলো না,
কারণ
কাগজে লেখা ছিল,
.
"রাজ,
তোমার জন্য লিখছি অবাক হওয়ার কিছু নেই ।
সামনা সামনি কিছু বলতে পারবো না তাই লিখছি
আমি তোমাকে ভালোবাসি অনেক বেশী পছন্দ করি।
জানিনা তুমি কাউকে পছন্দ করো কিনা । জানতেও চাইনা।
ভয় করে জানতে।
কিন্তু তোমাকে অনেক বেশী ভালোবাসি। .
.
>রাজ অবাক হয়ে
লেখাটা পড়ছে ।
.
সাথে সাথেই রিতুকে টেক্সট দিলো আগামীকাল দেখা করার জন্য
**
<>যাহক পরেরদিন,
রিতু দাঁড়িয়ে আছে একটা গাছের নিচে
কালো একটা ড্রেস পড়ে।
বেশ মানিয়েছে বটে।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে ।
>রাজ ওর আগে আসলেও
কিছুক্ষণ দাড় করিয়ে রেখে এগিয়ে গেল রিতুর ব্যাগ নিয়ে।
এগিয়ে দিলো ওকে ব্যাগ ।
>রিতু রাজের দিকে তাকাচ্ছে না লজ্জায় ।
কেউ কিছু বলছে না দেখে
রাজ বলে উঠলো,
- কি সমস্যা ?
গতকাল কাগজ টাতে কি লেখা ছিলো রিতু ?
- তুমি পড়ো নি ?
>মাথা নিচে নামিয়ে রেখেই
পালটা উওর দিলো রিতু।
*
>সাথেই সাথেই
প্রায় রাজ তেলে বেগুনে জলে উঠলো,
- ফাজলামু পেয়েছ?
এইসব কি ?
আমি তোমার থেকে এইসব আশা করিনি । ছি
.
>কথাটি বলেই রাজ
রিতুর সেই কাগজ পকেট থেকে বের করে দুমড়ে মুচড়ে মাটিতে ওর পায়ের কাছে ছুড়ে মারলো।
রিতু এইসব এ খুব অবাক হয়ে গেল । চোখে জল চিক চিক করতে লাগল ।
*
কিছু না বলে
রিতু নিজের ব্যাগ নিয়ে হাটা শুরু করলো এই বৃষ্টিতে ।
কাঁদছে ও ।
.
>হটাত মাথার উপরে ছাতা নিয়ে রাজ এসে দাঁড়ালো
রিতু অবাক হয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে গেল।
- আমার উওর না শুনে যাচ্ছো কোথায় ?
- মানে ?
(রিতুর আরো অবাক)
- তুমি সরাসরি বলো নি কেন ?
এটার জন্যই তো রাগ হলো খুব।
আর কাদার কি আছে?
তোমার চোখে পানি মানায় না।
I Love U Too পাগলি
- রিতু এবার রাজকে জড়িয়ে ধরলো
.
>পরে রাজ নিজেই আবার ছাতা বন্ধ করে দিয়ে
রিতুর হাত ধরে হাটা শুরু করলো এই বৃষ্টিতে।
মাঝে মাঝে কিছু মনের মানুষের সাথে বৃষ্টিতে ভিজলে কিচ্ছু হয়না ।
ভালোই লাগে তাদের হাত ধরে ভিজতে..
**
চলবে....