মাহমুদউল্লাহসহ বিশ্বকাপের জন্য নজরে ২৪ ক্রিকেটার

 মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ নাঈম শেখ কিংবা আফিফ হোসেনরা জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেও চোখের আড়ালে চলে যাননি। তেমনটাই ইঙ্গিত দিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, মাহমুদউল্লাহদের নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ২৪ জনের পুল তৈরি করে রাখা হয়েছে। তাদের রাখা হয়েছে নজরে। দলের প্রয়োজনে যে কোনো সময় আসতে পারে ডাক।

মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে প্রশ্নে সংক্ষিপ্ত উত্তরে নান্নু বলেন, ‘২৪ টা প্লেয়ার আমাদের পুল করা আছে। তো পার্টিকুলার কিছু না। যারা আছে সবাইকে বিশ্বকাপের জন্য মনিটরিং করা হচ্ছে।’

মাহমুদউল্লাহ সবশেষ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন। সেই সিরিজের তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান। এ ছাড়া ফিল্ডিংয়েও সেরাটা দিতে পারেননি। হাত ফঁসকেছে ক্যাচ। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোতে না থাকায় গতকাল বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভলপমেন্টের প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ দলে তিনি মাহমুদউল্লাহকে দেখছেন না। একদিন না যেতেই আজ নান্নু বললেন, মাহমুদউল্লাহ নজরে আছেন।

ঢাকা লিগে ৭১৯ রান নিয়ে শীর্ষে আছেন আবাহনীতে খেলা নাঈম। তাকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘নাঈম শেখ অবশ্যই ভালো করছে। সে আমাদের এইচপি টিমে ছিল। ‘এ’ টিমের সামনে সিরিজ আছে, সেখানেও দেখব। ডিপিএলে অনেকগুলো খেলোয়াড় ভালো পারফর্ম করছে। এদেরকে ভালো করে মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের পুলের যে ২৪ জন খেলোয়াড় আছে সেটার মধ্যে অবশ্যই সে থাকবে।’

নাঈম সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ঘরের মাঠে ২০২১ সালের মে’তে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর আর একদিনের ক্রিকেটে সুযোগ পাননি। এ ছাড়া সবশেষ গত বছর এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েন। ঢাকা লিগে দুর্দান্ত ফর্ম তার জন্য জাতীয় দলের দরজা খুলতেও পারে।

এ ছাড়া আফিফকে নিয়ে প্রধান নির্বাচকের ভাষ্য, ‘আমাদের পুলভূক্ত যে ২৪ জন খেলোয়াড় প্রস্তুতি করে রেখেছি, তাদেরকে ভালোভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ চোখের আড়াল হচ্ছে না। যাকে যখন প্রয়োজন মনে হবে, তাকে দলে নেওয়া হবে।’

আফিফ ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজের মাঝে দল থেকে বাদ পড়েন। ফর্মহীনতার কারণে বাদ পড়া আফিফ অবশ্য ঢাকা লিগে ভালো করছেন। ১০ ম্যাচে ৮ ইনিংসে ২৯৯ রান করেন এই বাঁহাতি ক্রিকেটার। তিন ফিফটিতে গড় ৪২.৭১।

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর বাংলাদেশ খেলবে আফগানিস্তান ও এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপের জন্য গঠিত দলটিই বিশ্বকাপ খেলতে যাবে। বাদ পড়া মাহমুদউল্লাহদের জন্য পুনরায় দলে জায়গা করে নেওয়া কঠিন, এখন দেখার বিষয় কিভাবে তাদের প্রত্যাবর্তন ঘটে।