কেউ তোমাকে পছন্দ করবে এই আশায় নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলো না...তুমি যেমন আছ তেমনই থাকার চেষ্টা কর... যে তোমাকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসবে সে সত্যিকারের তোমাকেই ভালোবাসবে...

Definition List

শ্রমিকরা চান ঈদের আগেই চালু, মালিকরা সরকারের অপেক্ষায়




করোনাভাইরাসের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।  এর প্রভাবে পরিবহন শ্রমিকরা এখন বেকার অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

কথা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের রিল্যাক্স পরিবহনের কর্মী মোহাম্মদ রাজিব হোসেনের সঙ্গে।  তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে পরিবহন বন্ধ।  খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।  মার্চের বেতন পেয়েছি। কিন্তু এপ্রিলের বেতন পাবো কিনা জানি না।

রাইদা পরিবহনের ড্রাইভার মোহাম্মদ আনিস রাইজিংবিডিকে বলেন, করোনার কারণে বাস চলছে না।  বাসের চাকা না ঘুরলে আমাদের চুলাও জ্বলে না।  বাস নিয়ে রাস্তায় বের হলেই প্রতিদিন অন্তত ৫০০ টাকা বাসায় নিয়ে যেতে পারতাম।  কিন্তু গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কাজ নেই।  পকেটে টাকাও নেই।  মা, বাবা, স্ত্রী সন্তান নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটের সেন্টমার্টিন পরিবহনের ম্যানেজার মোহাম্মদ জিতু হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, পরিবহন বন্ধের কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।  যার ফলে আমরা শ্রমিকদের ঠিকভাবে বেতন দিতে পারছি না। অনেকেই কষ্টে রয়েছেন।  আমাদের মালিকপক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে যেন কোনও শ্রমিক কষ্টে না থাকেন।  আমরা চাই সরকার অতি দ্রুত পরিবহন চালু করুক।  তাহলে শ্রমিকদের এই কষ্ট আর থাকবে না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, লাখ লাখ শ্রমিক কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।  একইভাবে অনেক বাস মালিক রয়েছেন—বাস না চলায় তারাও কষ্টে রয়েছেন।  অনেকে আছেন যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন।  কিন্তু এখন পরিবহন বন্ধ থাকায় সেই ঋণের টাকা দিতে পারছেন না।

তিনি বলেন, আমার নিজেরও পরিবহনে রয়েছে।  আমি শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছি।  অসহায় শ্রমিকদের খাবার দিয়ে যাচ্ছি। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।  করোনা যতদিন থাকবে আর বাস যতদিন না চলবে আমার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের ওপর।  পরিস্থিতি ঠিক না হলে, সরকার যদি অনুমতি না দেয় তাহলে পরিবহন চলবে না।  সামনে ঈদ।  ঈদের সময় সব পরিবহন মালিকরাই অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখে যাত্রী সেবায়।  তাই আমাদের পরিবহনের মালিকরা সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।  সরকার চলাচলের অনুমতি দিলেই আমরা যাত্রীদের সেবা দেওয়া শুরু করবো। 

Blogger দ্বারা পরিচালিত.