কেউ তোমাকে পছন্দ করবে এই আশায় নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলো না...তুমি যেমন আছ তেমনই থাকার চেষ্টা কর... যে তোমাকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসবে সে সত্যিকারের তোমাকেই ভালোবাসবে...

Definition List

করোনার নতুন আরো দুই উপসর্গ




তীব্র জ্বর থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্ট- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এ ধরনের একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বলে এতদিন জানা ছিল। তবে এবার নতুন একটি গবেষণায় করোনার আরো দুটি মাঝারি উপসর্গ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, এসব উপসর্গ দেখা দিলেও করোনায় আক্রান্ত বলে ধরা যেতে পারে।

উহানের হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, মাথাব্যথা এবং মাথাঘোরাও করোনার লক্ষণ হতে পারে। গবেষণায় গবেষকরা ২১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক লক্ষণগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করেন।
ফলাফলে দেখা যায়, ৩৬ শতাংশ রোগী মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, পেশী প্রদাহ এবং স্নায়ুর ব্যথা সহ স্নায়ুবিক লক্ষণগুলোর কিছু ফর্ম অনুভব করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে, এই লক্ষণগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসের লক্ষণের পাশাপাশি কাশি এবং জ্বর সহ দেখা গিয়েছিল। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে, রোগীরা কেবল স্নায়ুবিক লক্ষণই অনুভব করেছিল।
জেএএমএ নিউরোলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণায় লিং মাওয়ের নেতৃত্বে গবেষকরা লিখেছেন: ‘কমন লক্ষণগুলো (জ্বর, কাশি, ক্ষুধাহীনতা এবং ডায়রিয়া) ব্যতীত কিছু কোভিড-১৯ রোগী কেবল স্নায়ুবিক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল।  সুতরাং কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে তাদের স্নুায়ুবিক উপসর্গগুলোর দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অন্যথায় রোগী গুরুতর সংক্রমণ পর্যায়ে চলে গেলে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।’
গবেষকরা বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর মহামারি সময়কালে স্নায়ুবিক লক্ষণগুলো বিচারের ক্ষেত্রে দেরীতে রোগ নির্ণয় বা ভুল রোগ নির্ণয় এবং সংক্রমণ এড়াতে চিকিত্সকদের সার্স-কোভ-২ সংক্রমণকে একটি ডিফারেনটিভ ডায়াগনোসিস হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’
নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে কমন সাধারণ লক্ষণগুলো হলো, শুষ্ক কাশি এবং তীব্র জ্বর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লক্ষণগুলো কারো মধ্যে দেখা দিলে তাকে অবশ্যই ৭ দিনের জন্য আলাদা করতে হবে। যাহোক, করোনা আক্রান্ত বেশ কিছু রোগী পায়ে ক্ষত, অণ্ডকোষে ব্যথা, চুলকানি, মানসিক অবসন্নতার বাড়ার উপসর্গের কথাও জানিয়েছেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.