কেউ তোমাকে পছন্দ করবে এই আশায় নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলো না...তুমি যেমন আছ তেমনই থাকার চেষ্টা কর... যে তোমাকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসবে সে সত্যিকারের তোমাকেই ভালোবাসবে...

Definition List

গেইলদের এ কেমন ব্যাটিং!


ভাগ্যিস প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল। নয়তো এমন লজ্জা ১৯৯৬ সালের পর আবার পেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় ম্যাচের পরিসংখ্যান থাকবে না রেকর্ড বুকে।হারিয়ে যাবে স্কোরকার্ডও। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীদের মস্তিষ্ক থেকে কিভাবে এ ম্যাচ মুছে ফেলবেন ক্রিস গেইল ও এভিন ‍লুইসরা? দুই বারের ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আইসিসির সহযোগী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অলআউট ১১৫ রানে! ঠিক পড়ছেন। মাত্র ১১৫ রানে অলআউট উইন্ডিজ।

সবশেষ আইসিসি সহযোগী দেশের বিপক্ষে এতো অল্পরানে গুটিয়ে যাওয়ার দুঃস্মৃতি ১৯৯৬ সালে হয়েছিল ক্যারিবিয়ানদের। কেনিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়েছিল ব্রায়ান লারা, রিচি রিচার্ডসন ও ইয়ান বিশপরা। সেবার মূল মঞ্চে শতরানের আগে গুটিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন ক্রিকেটাররা।

২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের টিকেট পেতে ক্যারিবিয়ানদের পেরুতে হবে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব। মাত্র দুই দল উঠবে মূল বিশ্বকাপে। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচেই তো উইন্ডিজের পারফরম্যান্স ছন্নছড়া। ব্যাটিংয়ে ১১৫ রান তুলে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩২ রানে হারালেও এমন পারফরম্যান্স নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেট বিশ্ব।

লুইস, গেইল, স্যামুয়েলসদের মতো তারকা ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও ব্যাটিংয়ে নেই কোনো প্রাণ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ১১০ রানে অলআউটের পর আজকের পারফরম্যান্স আরও দৃষ্টিকটু লেগেছে। উইন্ডিজের করা ১১৫ রানের জবাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত অলআউট ৮৩ রানে।

তবে হারারেতে শুরুটা দারুণ করেছিল প্রাক্তন চ্যাম্পিয়নরা। ৬.১ ওভারে তুলেছিল ৬১ রান। পথ হারানোর শুরুটা ক্রিস গেইলকে দিয়ে। ২১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৬ রানে বিদায় নেন গেইল। লুইস ২০ বলে করেন ১০ রান। সিমরন হেটমায়ারের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২০ রান। এছাড়া মারলন স্যামুয়েলস করেন ১৫ রান। এ চার ব্যাটসম্যান বাদে কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। উইন্ডিজকে শতরানের আগে অলআউটের লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতই। দুর্দান্ত বোলিং করলেও ১৭ রান অতিরিক্ত দিয়েছে তারা। ওই রান না হলে ৯৮ রানে শেষ হতো তাদের ইনিংস!

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেরা বোলার ইমরান হায়দার। ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া তিন বোলার বাকি ৬ উইকেট ভাগ করে নেন।

বোলাররা ভালো করলেও আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন ফ্লপ। তিন ব্যাটসম্যান বাদে ওদের কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেনি। ২৯ ওভারে গুটিয়ে যায় ৮৩ রানে। বাঁহাতি স্পিনার নিকিতা মিলার ১০ ওভারে ২০ রানের খরচে নেন ৫ উইকেট। ৩টি উইকেট নেন কেমার রোচ। তাতেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

৩২ রানের জয় মূল মঞ্চে হয়তো গেইলদের আত্মবিশ্বাসী করবে কিন্তু টানা দুই ম্যাচে ছন্নছড়া ব্যাটিংয়ের উত্তর দ্রুতই খুঁজতে হবে তাদেরকে।

প্রসঙ্গত, এ ম্যাচে অন ফিল্ড আম্পায়ারিং করেছেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। মূল ম্যাচেও দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.