ফোর-জি তরঙ্গ বিক্রিতে আয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা
ফোর-জি বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল এবং ইন্টারনেট সেবার জন্য বেতার তরঙ্গ বিক্রি করে সরকার পেয়েছে পাঁচ হাজার কোটি। বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন বা বিটিআরসি মঙ্গলবার ঢাকায় উন্মুক্ত নিলামে এই ফ্রিকোয়েন্সী বা তরঙ্গ বিক্রি করে। দেশের দুটি বড় মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীন ফোন এবং বাংলা লিংক এতে অংশ নেয়। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহাজাহান মাহমুদ জানিয়েছেন, এই নিলাম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে এসেছে ৫ হাজার ২শ ৬৮ কোটি টাকা। খবর বিবিসির তিনি জানান, মোট ৪৬ মেগাহার্টয ফ্রিকোয়েন্সি নিলামে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে নিলামে ১৫ মেগাহার্টয বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ তিন ভাগের এক ভাগ বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাকী ফ্রিকোয়েন্সি ভবিষ্যতে বিক্রি হবে বলে আশা করি। যে রেটে আজ ফ্রিকোয়েন্সী বিক্রি হলো, সেই রেট আগামী ছমাস বলবৎ থাকবে। বাকীটা সেই রেটে কেউ চাইলে নিতে পারবে আগামী ছ’মাস।’ বাংলাদেশের আরেকটি বড় মোবাইল ফোন অপারেটর রবি এই নিলামে অংশ নেয়নি। রবি কিছুদিন আগে এয়ারটেল কিনে নিয়েছে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমদু বলেন, ‘এই মার্জারের কারণে রবি মনে করছে তাদের হাতে যথেষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি আছে। সেজেন্য তারা নিলামে অংশ নেয়নি। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের পর এখন সম্ভবত এই টেলিযোগাযোগ খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। ‘নিলাম থেকে পাওয়া রাজস্ব সহ এবার এই খাত থেকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উপার্জন দশ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। রেডিমেড গার্মেন্টস খাতের পর এটি সর্বোচ্চ। এবং এই অর্থের বেশিরভাগটাই আমরা বৈদেশিক মূদ্রায় পাই। তিনি জানান, নিলামের অর্থের শতকরা ৬০ ভাগ মোবাইল অপারেটরদের আজ হতে এক মাসের মধ্যেই পরিশোধ করতে হবে। বাকিটা আগামী দুই বছরে ধাপে ধাপে দেবে।’ ফোর-জি সার্ভিস চালু হওয়ার পর বাংলাদেশের গ্রাহকরা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেটে তথ্য-আদান প্রদান করতে পারবেন বলে আশা করছে বিটিআরসি। তবে ফোর-জি’র পুরো সুবিধে ভোগ করতে গেলে যে ধরণের অবকাঠামো এবং মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট থাকা দরকার, তার ঘাটতি আছে বলে স্বীকার করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান