কেউ তোমাকে পছন্দ করবে এই আশায় নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলো না...তুমি যেমন আছ তেমনই থাকার চেষ্টা কর... যে তোমাকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসবে সে সত্যিকারের তোমাকেই ভালোবাসবে...

Definition List

পারবে কি বাংলাদেশ?

প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৪৯৬ রান। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২০ রানের বেশি করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সংগ্রহ করে ২৪৭ রান। তাতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪২৪ রান!

এই রান তাড়া করে জয় পাওয়ার পথটা যে অনেক দূরের সেটা সকলেরই জ্ঞাত। কিন্তু সেই কঠিন পথটা মুহূর্তেই আরো বন্ধুর হয়ে উঠল মরনে মরকেলের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই। মরকেলের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই বোল্ড হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল। মরকেলের বলটি মোকাবেলার জন্য সঠিকভাবেই ব্যাট নিয়ে এগিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু বলটি টার্ন করে তার স্ট্যাম্প গুড়িয়ে দেয়। শূন্যরানে ফিরে যান তামিম।

এক বল পরেই প্রথম ইনিংসে ৭৭ রান করা মুমিনুল হকও বিদায় নেন। তিনি অবশ্য বোল্ড হননি। মরকেলের ষষ্ঠ বলটি ঠিকমতো খেলতে পারেননি মুমিনুল। এলবিডব্লিউর জন্য সমস্বরে আবেদন। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দেন। মুমিনুল কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না। সতীর্থ ইমরুল কায়েসের কাছে জানতে চান রিভিউ নিবেন কিনা? ইমরুলের ইঙ্গিত নেতিবাচক হওয়ায় তিনি সাজঘরের পথেই হাঁটতে শুরু করেন। তখন বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ০! পরে অবশ্য দেখা যায় বলটি লেগ স্ট্যাম্প মিস করত। কোনো রান না হতেই বাংলাদেশের নেই দুই উইকেট।

এরপর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তারা দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে ৪৯ রান তোলেন। এরপর কেশব মহারাজের বলে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডি কককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল। ৪২ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩২ রান করে যান। এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলা হয়নি। অস্বস্তিকর ব্যাটিংয়ের পর এমন বৃষ্টি নিঃসন্দেহে স্বস্তির কারণ হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য।

শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৭৫ রান। আর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ৭টি উইকেট। বাংলাদেশ যে আগামীকাল জয়ের জন্য খেলবে না সেটা মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায়। বাংলাদেশের টার্গেট হবে ৯০ ওভার খেলে টেস্টটি ড্র করা। সেটা পারবে কী বাংলাদেশ? হয়তো কঠিন। পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ। বাকিটা দেখার অপেক্ষায় বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীরা।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.