করোনায় বাঁচতে হলে ব্যায়াম করতে হবে: গবেষণা

করোনা আতঙ্কে ঘরবন্দী জীবনযাপনে বিরক্ত অনেকে নিজেকে বিনোদন দিতে ব্যায়াম করা শুরু করেছেন।
আর এবার নতুন একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত ব্যায়াম আপনার অ্যাকিউট রেসপিরেটোরি ডিসট্রেস সিনড্রোম (এআরডিএস) ঝুঁকি কমাতে পারে। করোনাভাইরাস রোগীদের প্রায়ই মৃত্যু হয় এআরডিএস অর্থাৎ চরম শ্বাসকষ্টের কারণে।
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, তাদের গবেষণার ফলাফলগুলো দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যে নিয়মিত ব্যায়াম এআরডিএসের তীব্রতা রোধ করতে পারে বা কমপক্ষে হ্রাস করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুমান করেছে, কোভিড-১৯ রোগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪২ শতাংশ রোগীর এআরডিএস জটিলতা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুমান করেছে, কোভিড-১৯ রোগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪২ শতাংশ রোগীর এআরডিএস জটিলতা হতে পারে।
গবেষণার নেতৃত্বদানকারী ডা. ঝেন ইয়ান বলেন, ‘আপনি এখন যা শুনছেন তা সামাজিক দূরত্ব বা ভেল্টিলেটর বিষয়ে। মানে আমরা এখন যেটা করতে পারি সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্বে বা সংক্রমিত হলে বেঁচে থাকার জন্য ভেন্টিলেটরের উপর নির্ভর। কিন্তু এই গল্পের উল্টো দিকটা হলো, মাঝারি লক্ষণ রয়েছে এমন প্রায় ৮০ শতাংশ কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রশ্নটা হলো কেন?’
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোগীর এআরডিএস জটিলতা হ্রাস করতে পারবে এমন একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের দিকে আমরা নজর দিয়েছিলাম। এক্সট্রা সেলুলার সুপারোক্সাইড ডিসমুটেজ (ইসিএসওডি) নামক এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ওপর বিদ্যমান গবেষণাগুলো আমরা পর্যালোচনা করেছি। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টকে আমাদের টিস্যুগুলো রক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে দেখানো হয়েছে। ব্যায়ামের ফলে শরীরে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।’
গবেষণায় তীব্র ফুসফুস রোগ, হৃদরোগ এবং কিডনিতে ব্যর্থতা সহ একাধিক রোগে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টটির পরিমাণ কম পাওয়া গেছে। এই গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষকরা লকডাউনেরর মধ্যেও মানুষজনকে ব্যায়ামের উপায়গুলো খুঁজে দেখার জন্য অনুরোধ করছেন।
ডা. ইয়ান বলেন, ‘লকডাউনের কারণে ব্যায়াম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা যাবে না। নিয়মিত ব্যায়ামের অনেক বেশি স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বর্তমান শ্বাসযন্ত্র রোগটির গুরুতর অবস্থার বিরুদ্ধে সুরক্ষা।’