কমার্সের প্রেমপত্র
কমার্সের প্রেমপত্র:
প্রিয় জাবেদা, পত্রের শুরুতে তোমাকে জানাই আমার তারল্য মনের কুঋণহীন নিখাদ ভালোবাসা। তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছি সেদিনই মনের অজান্তে আমার হিসাবের খাতায়, স্থায়ী ভাবে লিপিবদ্ধ করে ফেলেছি। . তোমাকে পাওয়ার জন্য তোমার বোনকে কারবারি বাট্টা দিতে দিতে যখন সরবরাহকারীদের কাছে নিজেই অনাদায়ী পাওনা বলে গণ্য হয়ে যাচ্ছিলাম তখন আর মনের কথা লুকিয়ে রাখতে পারলাম না। . তুমি আমাকে খুচরা নগদান বই ভাবতে পারো কিন্তু আমি তোমাকে, আমার প্রাপ্য বিলের মতো ভালবাসি। তুমি আমার এ ক মালিকানা কারবার তবুও তোমাকে আমি, দ্বৈত স্বত্তায় প্রকাশ করেছি। যেখানে তুমি ডেবিট আর আমি ক্রেডিট। . আর ওই যে তোমার কাজিন ট্রেবিট তাকে কিন্তু একদমই পাত্তা দিবানা। সে ফষ্টিনষ্টি করার ধান্দায় কাজের বুয়াকে পরিমাণ বাট্টা ও বোনাস দিয়ে, ওভার টাইম করাতে চায় । . খতিয়ান করতে করতে কবে যে তোমার পাওনাদার হিসাবে নিজের নামটা লিখতে চেয়েছি, তা তোমাকে আমি ফাইনাল একাউন্টের মাধ্যমেও বুঝাতে পারবো না। . তোমার বাবা আমাকে সবসময় অবচয় ভাবতো অথচ আমি যে তোমার জীবনে অনুদানের মতো মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি হয়ে আসতে পারি তা তিনি ভাবেন নি কখনো। . তোমার কথা ভাবতে ভাবতেই প্রতি রাতে নগদ প্রবাহ বিবরণীর মতো আমার মনে তিনদিকে থেকে আন্ত:প্রবাহ ও বহি:প্রবাহ এসে, সব এলোমেলো করে দেয়। এখন তুমি নিরীক্ষা না করলে, আমার জীবন অনিশ্চিত হিসাবই থেকে যাবে। . আমার মনের খাতায় প্রথম লেনদেন তুমি শেষ লেনদেন তুমি। তুমি আমার জীবনে না আসলে আমি দেউলিয়া হয়ে যাব। জানু আমার, আমি ব্যাংকের মতো ঋণদাতা নই, আমি তোমার আজীবন দাতা। তোমার ভালবাসা পেলে আবার শুধরে নিব জীবনের সমন্বয়গুলো। . আমাদের মিলনে হবে সমন্বিত রেওয়ামিল। দুজন দুজনের জীবনের ভুলগুলো সংশোধনী জাবেদা দিয়ে নতুন করে একটা স্থিতিপত্র করব, যেখানে তুমি হবে সম্পদ আর আমি হবো মালিকানাস্বত্ব; থাকবে না কোন বহি:দায়। আমাদের প্রেম তত্ত্বের থাকবে না কোন বাহ্যিক ব্যবহারকারী। . লক্ষ্মীটি তোমার জন্য কত শত প্রাইজবন্ড কিনে রেখেছি। আশা করি, আমার প্রেমের ফরমায়েশ তুমি গ্রহণ করে শীঘ্রই আমাকে বিয়ে করবে। . ইতি তোমার স্থায়ী সম্পদ, মোঃ ডেবিট খান
প্রিয় জাবেদা, পত্রের শুরুতে তোমাকে জানাই আমার তারল্য মনের কুঋণহীন নিখাদ ভালোবাসা। তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছি সেদিনই মনের অজান্তে আমার হিসাবের খাতায়, স্থায়ী ভাবে লিপিবদ্ধ করে ফেলেছি। . তোমাকে পাওয়ার জন্য তোমার বোনকে কারবারি বাট্টা দিতে দিতে যখন সরবরাহকারীদের কাছে নিজেই অনাদায়ী পাওনা বলে গণ্য হয়ে যাচ্ছিলাম তখন আর মনের কথা লুকিয়ে রাখতে পারলাম না। . তুমি আমাকে খুচরা নগদান বই ভাবতে পারো কিন্তু আমি তোমাকে, আমার প্রাপ্য বিলের মতো ভালবাসি। তুমি আমার এ ক মালিকানা কারবার তবুও তোমাকে আমি, দ্বৈত স্বত্তায় প্রকাশ করেছি। যেখানে তুমি ডেবিট আর আমি ক্রেডিট। . আর ওই যে তোমার কাজিন ট্রেবিট তাকে কিন্তু একদমই পাত্তা দিবানা। সে ফষ্টিনষ্টি করার ধান্দায় কাজের বুয়াকে পরিমাণ বাট্টা ও বোনাস দিয়ে, ওভার টাইম করাতে চায় । . খতিয়ান করতে করতে কবে যে তোমার পাওনাদার হিসাবে নিজের নামটা লিখতে চেয়েছি, তা তোমাকে আমি ফাইনাল একাউন্টের মাধ্যমেও বুঝাতে পারবো না। . তোমার বাবা আমাকে সবসময় অবচয় ভাবতো অথচ আমি যে তোমার জীবনে অনুদানের মতো মূলধন জাতীয় প্রাপ্তি হয়ে আসতে পারি তা তিনি ভাবেন নি কখনো। . তোমার কথা ভাবতে ভাবতেই প্রতি রাতে নগদ প্রবাহ বিবরণীর মতো আমার মনে তিনদিকে থেকে আন্ত:প্রবাহ ও বহি:প্রবাহ এসে, সব এলোমেলো করে দেয়। এখন তুমি নিরীক্ষা না করলে, আমার জীবন অনিশ্চিত হিসাবই থেকে যাবে। . আমার মনের খাতায় প্রথম লেনদেন তুমি শেষ লেনদেন তুমি। তুমি আমার জীবনে না আসলে আমি দেউলিয়া হয়ে যাব। জানু আমার, আমি ব্যাংকের মতো ঋণদাতা নই, আমি তোমার আজীবন দাতা। তোমার ভালবাসা পেলে আবার শুধরে নিব জীবনের সমন্বয়গুলো। . আমাদের মিলনে হবে সমন্বিত রেওয়ামিল। দুজন দুজনের জীবনের ভুলগুলো সংশোধনী জাবেদা দিয়ে নতুন করে একটা স্থিতিপত্র করব, যেখানে তুমি হবে সম্পদ আর আমি হবো মালিকানাস্বত্ব; থাকবে না কোন বহি:দায়। আমাদের প্রেম তত্ত্বের থাকবে না কোন বাহ্যিক ব্যবহারকারী। . লক্ষ্মীটি তোমার জন্য কত শত প্রাইজবন্ড কিনে রেখেছি। আশা করি, আমার প্রেমের ফরমায়েশ তুমি গ্রহণ করে শীঘ্রই আমাকে বিয়ে করবে। . ইতি তোমার স্থায়ী সম্পদ, মোঃ ডেবিট খান