কেউ তোমাকে পছন্দ করবে এই আশায় নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলো না...তুমি যেমন আছ তেমনই থাকার চেষ্টা কর... যে তোমাকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসবে সে সত্যিকারের তোমাকেই ভালোবাসবে...

Definition List

মাতৃহারা লাবণীকে গোয়াল ঘরে আটকে রাখা হতো

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে মাতৃহারা শিশু লাবণীকে (৭) রাত-দিন গোয়াল ঘরে আটকে রাখা হতো। সৎ মা, বাবা ও দাদী মিলে তাকে আটকে রাখতেন।

বিষয়টি জানতে পেরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় শনিবার দুপুরে পুলিশ গোয়াল ঘর থেকে লাবণীকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে তার সৎ মা রুপা বেগম (২০), বাবা আফজাল খান (৪৬) এবং দাদী মর্জিনা বেগমকে (৬৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী (ডুমুরিয়া ইউনিয়ন) আফছার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিকেলে আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠিয়েছেন এবং শিশু লাবণীকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের হেফাজতে রাখা হয়েছে।



পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের আইতলা এলাকার বাসিন্দা আফজাল খান বছরখানেক আগে তার প্রথম স্ত্রীকে মানসিক প্রতিবন্ধী দাবি করে তালাক দিয়ে রুপা বেগমকে বিয়ে করেন। দুই  সন্তান আব্দুর রহমান (১৫) ও লাবণী খানকে রেখে তাদের মা সম্প্রতি মারা যায়।

আফজাল খান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে আনার পর শিশু লাবণীর ওপর নির্যাতন শুরু হয়। এক পর্যায়ে লাবণীকে তারা নিজেদের সঙ্গে না রেখে রাত-দিন বাড়ির গোয়াল ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখতে থাকে। সম্প্রতি বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পায়। সেটি  সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও পুলিশের দৃষ্টিগোচর হলে শনিবার সমাজসেবা অধিদপ্তর খুলনার প্রবেশন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে শিশু লাবণীকে উদ্ধার করেন।

মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে নির্যাতন এবং গোয়াল ঘরে আটকে রাখার বিষয়টি ফেসবুকে দেখে তিনি তাকে উদ্ধারের তৎপরতা শুরু করেন। একই সঙ্গে শিশু নির্যাতনের অপরাধে সৎ মা রুপা বেগম, বাবা আফজাল খান এবং দাদী মর্জিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।



ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তিনি পুলিশ পাঠিয়ে শিশুকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা এসআই কেরামত আলীকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত শুনানি শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। শিশু লাবণীকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের হেফাজতে রাখা হয়েছে।



তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি
Blogger দ্বারা পরিচালিত.